স্পোর্টস ডেস্ক : বছর দেড়েক আগে টেনিসকে বিদায় বলেছেন পাঁচ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী মারিয়া শারাপোভা। ডোপ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাওয়ার পর দুই বছর নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। নির্বাসন শেষে কোর্টে ফিরে নিজের হারানো ছন্দ ফিরে পাননি এই রুশসুন্দরী। একবুক হতাশা নিয়ে টেনিসকে গুডবাই বলেন শারাপোভা।
ব্যস্ত হয়ে ওয়ে ওঠেন নানাধরনের সামাজিক কাজে। লাখো তরুণের হৃদয় গুড়িয়ে দিয়ে গতবছর ডিসেম্বরে শারপোভা জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স উইলিয়ামসের বন্ধু ও লন্ডনের নামী ব্যবসায়ী অ্যালেক্সান্ডার গিলকসের সঙ্গে সম্পন্ন হয় এই অনিন্দ্য সুন্দরীর বাগদান।
অবকাশ যাপনে তারা ছুটে যান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। প্রায় পাঁচমাস দুজন একসঙ্গেই ছিলেন। এরপরই তৈরি হয় দূরত্ব। সোশাল মিডিয়ায় শারপোভার দেয়া কয়েকটি শব্দে তা প্রকাশ পায়। নিজের আফিসিয়াল ইনস্টিগ্রামে বেজার মুখের কয়েকটা ছবি পোস্ট করে সাবেক টেনিস তারকা লিখেন, জীবনটা বৈচিত্র্যহীন লাগছে। রাশিয়ার গণমাধ্যমে এরই মধ্যে চাওড় হয় নতুন সম্পর্কে জড়াতে চলেছেন শারপোভা।
তাকে নাকি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘণিষ্ঠ এক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। এমনটা তো হতেই পারে। কারণ সম্পর্ক পাল্টানো মারিয়া শারপোভার জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে টেনিস তারকা গ্রিগর দিমিত্রভ, মেরুন ফাইভ ব্যান্ডের ম‚ল গায়ক অ্যাডাম লিভাইনের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল শারাপোভার। কোনো সম্পর্কই টিকেনি বেশিদিন।
এমনকি এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সের শুটিং গার্ড সাশা ভুয়াচিচের সঙ্গে বাগদান হয়েছিল তার। পরে ওই সম্পর্ক ভেঙে যায়। কাজেই গিলকসের বাতিল করে দেওয়াটা এই অনিন্দ্যসুন্দরীর জন্য ছেলেখেলার মতোই ঘটনা। শারপোভাকে নিয়ে কানাঘুষার নতুন মোড় নিয়েছে সম্প্রতি এই টেনিসতারকার দেওয়া ইনস্টিগ্রামের আরেকটি বক্তব্য।
এবারও তিনি একলাইনেই জানিয়েছেন, পুরান প্রেমেই ডুবে আছেন। তবে এই পুরনো প্রেমটা বাগদত্তা গিলকসের সঙ্গে নাকি অন্যকোনো সাবেক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তা স্পষ্ট করেননি ৩৪ বছর বয়সী রুশসুন্দরী।